৪ঠা মে, ২০২৪ ইং, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিরোনাম :

ছাগল কিনতে ৮৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা ঋণ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী আশরাফ আলী খান খসরু জানিয়েছেন, প্রাণিসম্পদ অধিদফতর কর্তৃক বর্তমানে বাস্তবায়নাধীন ব্লাক বেঙ্গল জাতের ছাগল উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ প্রকল্পে ক্ষুদ্রঋণ কর্মসূচির আওতায় ১৯৯৬-৯৭ হতে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জানুয়ারি-২০১৯ পর্যন্ত এক লাখ ২৯ হাজার ৭০ জন সুফলভোগীর মাঝে সর্বমোট ৮৭ কোটি ১৮ লাখ টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। এর বিপরীতে আদায়কৃত অর্থের পরিমাণ ৬৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। আদায়ের হার ৭৬. ১৩ শতাংশ ।

সোমবার জাতীয় সংসদে ঢাকা-৭ এর এমপি হাজী মো. সেলিমের এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে এ তথ্য জানান প্রতিমন্ত্রী।

সরকারি দলের মাহফুজুর রহমানের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মিঠা পানির ২৬০ প্রজাতির মাছের মধ্যে বিলুপ্তপ্রায় ৬৪ প্রজাতির মাছ। মিঠা পানির এসব মাছকে রক্ষার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রতিমন্ত্রী জানান, বিলুপ্তপ্রায় মাছ সংরক্ষণের জন্য বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট গবেষণার মাধ্যমে ইতোমধ্যে ১৮ প্রজাতির মাছ যথা-বাটা, সরপুটি, ভাঙ্গনা, কালিবাউশ, গনিয়া, মহাশোল, পাবদা, গুলশা, শিং মাগুর, ভেদা, গুজি, আইড়, চিতল, ফলি, কুচিয়া, ট্যাংরা ও গুতুমের প্রজনন ও চাষ বিষয়ক প্রযুক্তি উদ্ভাবন করা হয়েছে। এছাড়া শাল-বাইম, বৈরালী ও গজার মাছের প্রজনন ও চাষ কৌশল উদ্ভাবনের লক্ষ্যে গবেষণা হচ্ছে। এসব গবেষণার উদ্দেশ্য হচ্ছে সকল দেশীয় প্রজাতির মাছ পুনরুদ্ধার করে খাবার টেবিলে ফিরিয়ে আনা।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জানান, মিঠা পানির মাছকে রক্ষার জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতায় মৎস্য অধিদফতর কৌশলপত্র প্রণয়ন করেছে। আশরাফ আলী খান খসরু আরও জানান, মুক্ত জলাশয়ে বিগত পাঁচ বছরে ৫৩৪টি স্থায়ী ও অস্থায়ী অভয়াশ্রম করা হয়েছে। ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ৫০০ টন পোনা মাছ অবমুক্ত করা হয়েছে।

Share Button